রাজা কৃষ্ণচন্দ্রর ভয়ানক ভূতের কাহিনী

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রর ভয়ানক ভূতের কাহিনী

এক রাজা ও তাঁর উজির একদিন হরিণ শিকার করতে গেলো । তাঁরা যেতে যেতে গহীন জঙ্গলের ভিতর ঢুকে পড়লো । এবং দেখতে পেলো অনেক বড় এক প্রাসাদ, এবং প্রাসাদ অনেক পরিস্কার । মনে হল এই প্রাসাদ এখনই পরিস্কার করলো, রাজা ও উজির ঐ প্রাসাদ আগে কখনও দেখেনি । রাজা ও উজিরের অনেক পিপাসা পেয়েছিল এবং তাঁরা মনে করলো এই প্রাসাদে গিয়ে দেখি পানি পাওয়া যায় কি ? এই বলে প্রাসাদে ঢুকে পড়লো এবং দেখল প্রাসাদে বাহির থেকে ভিতরে আরও সুন্দর । এই তাঁরা ডাকল বলল প্রাসাদে কেও আছেন নাকি ? তাঁর কথাই কেউ শুনল না । সে আবার

ডাকল । এবারেও কেউ সাড়া দিলো না । তারপর তাঁরা প্রাসাদের বাড়ীর ভিতরে ঢুকে দেখল প্রাসাদে সবাই আছে । কিন্তু সবাই মূর্তি অবস্থায়, রাজা দেখল সেখানে অনেক মানব আছে কিছু না হলেও ৫,০০০ এর ও বেশি । তখন তাদের গায়ে উজির যখনি হাত দিলো সঙ্গে সঙ্গে উজির মূর্তি হয়ে গেলো এটা দেখে রাজা একটু ভঁয় পেয়ে গেলো এবং রাজা একটু সাইডে গিয়ে দেখল হাজার হাজার হাতি । এবং ঘোড়া সালে হাজার হাজার ঘোড়া । রাজা তারপর আরও দেখল যে প্রাসাদের ভিতর অনেক বড় পুকুর, আর অনেক সুন্দর পুকুরটা তারপর রাজা দেখল পুকুরে সুন্দর সুন্দর মাছ । আরও দেখল, পুকুরের ঐ সাইটে বড় একটা বিশ্রামাগার, সেখানে একটা সুন্দর খাট আছে । ঐ খাটের উপর সুন্দর একটা মূর্তি আছে, কাছে গিয়ে দেখল অনেক সুন্দর একটা বালিকা । শুয়ে আছে এবং পাশে দুইটা সুন্দর কাঠি আছে, কাঠি টা দেখে রাজা ভাবল দেখি কোন কাজ হয় কি ? এই বলে রাজা ঐ কাঠিটা হাতে নিয়ে ঐ বালিকার মাথাই ও পায়ের কাছে ধরল তারপর দেখল বালিকা বেঁচে উঠেছে । তারপর বালিকা বলল কে তুমি মহা পুরুষ । আমার জীবন ফিরালে । আমি বললাম আমি উত্তম গড়ের রাজা । কৃষ্ণ চন্দ্র কুমার, তারপর বালিকা বলল তুমি তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাও নইলে তোমাকে আমাদের মতো মূর্তি করে ফেলবে । আরও বলল তুমি আবার আমাকে মূর্তি করও রাক্ষস রাজার আসার সময় হয়ে গেছে । তাঁর পর তাকে মূর্তি করে অন্য এক সায়ডে গিয়ে রাজা লোকালো । এরপর যখন রাক্ষস রাজা আসলো, তখন রাজা দেখল তাদের চেহারা বিভস্য, ঐ রাক্ষস রাজা বালিকাকে ঘুম থেকে জেগে উঠাল এবং তাকে দিয়ে তাঁর হাত – পা টিপিয়ে নিচ্ছে এভাবে রাক্ষস রাজা বিশ্রাম নিয়ে আবার চলে গেলো । এই দেখে রাজা হতবাক হয়ে গেলো, তারপর রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র তাঁর কাছে গেলো এবং তাকে মানুষ রুপ করে বলল চলো আমরা পালিয়ে যাই । তখন ও বলল যতদূর পালিয়ে যায়না রাক্ষস রা আমাদের ধরে ফেলবে । রাজা তখন বলল এখন উপায় তখন ঐ কুমারী বলল ওদের মেরে ফেললে আমরা সবাই বেঁচে যাবো । তখন রাজা বলল, কিভাবে মারব ? তখন রানী বলল তুমি প্রাসাদের ডান সাইডে যাও । সেখানে গিয়ে দেখ বড় একটা ঘর আছে । ঐ ঘরে একটা বড় লোহার খাঁচা আছে, ঐ খাচার ভিতর বড় একটা টিয়া পাখী আছে । এবং তাঁর পাঁশে একটা তীর ও ৩ টা ধনুক আছে, ঐ তিনটা ধনুক দিয়ে টিয়া পাখীটাকে মারতে হবে । আর যদি মারতে না পারেন , তাহলে ওরা আপনাকে মেরে ফেলবে । তখন রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র বলল আমি ধনুক ছোড়াতে ভালো পারি আমার কাছ থেকে ধনুক মিস হওয়ার কথা না । এই বলে চলে গেলো । তারপর ঐ তীর ও ধনুক দিয়ে প্রথম ধনুক মারার সাথে সাথে টিয়া পাখির পাস দিয়ে চলে গেলো । আবার আরেকটা মারলেন, এটাও মিস হয়ে গেলো । আর মাত্র একটা আছে এটা মারার সাথে সাথে টিয়া পাখির বুকের মাঝ দিয়ে ধনুক বাহির হয়ে গেলো । এবং পাখীটি মারা গেলো এবং রাজা বাহির হওয়ার সময় দেখল, দরজার সামনে হাজার হাজার রাক্ষস মরে পড়ে আছে । তারপর ঐ কুমারির কাছে গিয়ে দেখল তাঁরা সবাই জেগে উঠেছে । উজির সহ আছে তাঁর পর রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র ও উজির তাদের কাছ থেকে বিদাই নিয়ে চলে যাবে এমন সময় ওখানকার রাজা বলল আমার মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে দিতে চাই, তুমি কি রাজী ? রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র বলল আমি রাজী এই বলে তাঁরা বিবাহ করে ঘর সংসার করা শুরু করলো । এই হল রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রর জীবনের ইতিহাস ।