মাঝরাতে ভয়ংকর ভূতের গল্প

মাঝরাতে ভয়ংকর ভূতের গল্প

আমার এই গল্পটা আমার এক মামাতো ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ভূতের ঘটনা । আমার মামাতো ভাইয়ের নাম দিপু ।

আসল ঘটনা, মামাদের গ্রামের বাড়ী ভরাট, গাংনী । ঐ গ্রামের পাশের গ্রামে দিপু প্রতিদিন রাতে “ক্যারাম বোর্ড” খেলতে যেত, একদিন ক্যারাম বোর্ড খেলতে খেলতে রাত প্রায় ১.১৫ টা বেজে গেছে, খেলা শেষে বাড়ী আসার সময় দুইটা সিগারেট নিয়ে সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে বাড়ীর দিকে আসছে । ঐ গ্রাম এর মাঝ রাস্তায় একটি বাঁশ ঝাড় আছে এবং ঐ বাঁশঝাড়ের পাশেই বড় কবর স্থান আছে । ঐ কবরের সম্পর্কে অনেক ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর কাহিনী আছে ঐ কাহিনী নিয়ে পরে লিখবো ।

আর হ্যা, দিপু  দোকান থেকে বাহির হয়ে আসার সময় ঐ কবরের ঘটনার কথা মনে পড়ে অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলো । এবং দিপু মনে মনে দুয়া কালিমা পড়তে লাগলো ও সিগারেট ধরিয়ে টানতে লাগলো এবং ভিতু
মনে চোখ সামনে রেখে হাটছিলো এমন সময় দিপু টের পেলো পেছন থেকে কিছু একটা শব্দ আসছে এবং তার পাশ দিয়ে ভয়ঙ্কর একটা বাতাস বয়ে চলছে । দিপু প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল এবং জোরে জোরে কালিমা পড়তে শুরু করলো । এমন সময় আকাশ থেকে একটা আগুনের গোলা তার সামনে পড়ল । তাঁর তখন মনে হল এদের হাত থেকে আমাকে বাঁচাবার মত আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কেউ নেই । তখন সে মনে প্রাণে জোরে জোরে আল্লাহ’র নাম নিয়া শুরু করলো । এবং হতাঠ একটা বাঁশ নেমে আসলো এবং তখন তাঁর মনে পড়লো সে বড়দের মুখে শুনেছিল পড়ে যাওয়া কোন গাছের উপর দিয়ে হেঁটে গেলে বড় ধরণের কোন বিপদ হতে পারে । সে তখন একটু সাইড হয়ে গেল ।এমন সময় কবর থেকে সাদা পোশাকের ২ জন বেরিয়ে আসল এবং তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো  । তখন তাঁর ভঁয়ে জান যায় যায় অবস্থা , সে মনে করলো আজরাইল তাঁর সামনে আসছে  । তখন সাদা পোশাকের ২ জন তাঁর পাসে না এসে দূরে দূরে  থেকে তাকে ভয় দেখাতে লাগলো  । এবং এমন সময় সে দেখতে পেল কবর থেকে সাদা পোশাকে হুরাহুর ভূত বেরিয়ে আসতে লাগলো । তখন বাজে রাত ৩.১৫ মিনিট তখন সে বুঝতে পারলো এখানে ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট যাবত দাঁড়িয়ে কাঁপছে, এবং প্রচণ্ড শীতে সে ঘামছে । এমন সময় ঐ পড়া গাছটা হতাঠ উপরে উঠে পড়লো এবং তাঁর গা ভেদ করে চলে গেল । এমন শীতের সময় তাঁর মনে হল আগুণের মতো গরম বাতাস আসছে । আর কবরের পাশে কাঁঠাল গাছটা হড়মড় করে ভেঙে পড়ে গেল । তখন সে অনেক ভঁয় পেয়ে গিয়েছিল, আর এমন সময়  তাকে উপরে উঠে নিয়ে গেলো তখন সে প্রচন্ড ভয় পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল । তখন রাত অনুমানিক ৪.৩০ মিনিট । এবং জ্ঞান ফিরে আসার পর জানতে পারলো গ্রামের মুসুল্লিরা নামাজ পড়ার পথে তাকে নদীর ধারে ঘুমানো অবস্থায় পেয়েছে । এবং ওরা মসজিদে নামাজ পাড়ার পর তাঁর বাবা মা’কে খবর দিয়ে পাঠিয়েছে । এই হল আমার মামাতো ভাইয়ের ঘটনা । সেই দিন থেকে আমার মামা আর কখনও রাতে ক্যারাম বোর্ড খেলা খেলেনি । এবং রাতে প্রসাব পাইখানা করতেও যায় না ।

সকল বন্ধুরা পোষ্ট টি কেমন হল জানাবেন Please । বন্ধুরা দোয়া করেন যাতে আপনাদের মাঝে আমি আরও পোষ্ট লিখতে পারি, সবাই ভালো থাকেন এই আমার কামনা । আজকের মতো এখনেই সমাপ্ত করছি ধন্যবাদ সবাইকে